জন-গণ-মন-অধিনায়ক

জন-গণ-মন-অধিনায়ক জয় হে, ভারত-ভাগ্য-বিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধ গুজরাত মরাঠা, দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা, উচ্ছল-জলধি-তরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে,
গাহে তব জয় গাথা।
জন-গণ-মঙ্গল-দায়ক জয় হে, ভারত-ভাগ্য-বিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে
জয়, জয়, জয়, জয় হে।

তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে

তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
লক্ষ্য-শূন্য লক্ষ বাসনা ছুটিছে গভীর আঁধারে,
জানি না কখন ডুবে যাবে কোন্ অকুল-
গরল-পাথারে! প্রভু, বিশ্ব-বিপদহন্তা,
তুমি দাঁড়াও,রুধিয়া পন্থা;
তব, শ্রীচরণ তলে নিয়ে এস, মোর
মত্ত-বাসনা গুছায়ে! আছ, অনল-অনিলে,
চিরনভোনীলে,ভূধরসলিলে, গহনে
আছ, বিটপীলতায়,জলদের গায়,
শশীতারকায় তপনে।
আমি, নয়নে বসন বাঁধিয়া, বসে,
আঁধারে মরিগো কাঁদিয়া|আমি, দেখি নাই কিছু,
বুঝি নাই কিছু,দাও হে দেখায়ে বুঝায়ে।

বল বল বল সবে

বল, বল, বল সবে, শত বীণা-বেণু-রবে,
ভারত আবার জগত-সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে |
ধর্মে মহান্ হবে, কর্মে মহান্ হবে,
নব দিনমণি উদিবে আবার পুরাতন এ পুরবে!
আজও গিরিরাজ রয়েছে প্রহরী,
ঘিরি তিনদিক নাচিছে লহরী,
যায়নি শুকায়ে গঙ্গা গোদাবরী, এখনও অমৃতবাহিনী |
প্রতি প্রান্তর, প্রতি গুহা বন,
প্রতি জনপদ, তীর্থ অগণন, কহিছে গৌরব-কাহিনী |
বিদুষী মৈত্রেয়ী খনা লীলাবতী,
সতি সাবিত্রী সীতা অরুন্ধতী,
বহু বীরবালা বীরেন্দ্র-প্রসূতি, আমরা তাঁদেরই সন্ততি |
ভোলেনি ভারত, ভোলেনি সে কথা,
অহিংসার বাণী উঠেছিল হেথা,
নানক, নিমাই করেছিল ভাই, সকল ভারত-নন্দনে |
ভুলি ধর্ম-দ্বেষ জাতি-অভিমান,
ত্রিশকোটি দেহ হবে এক প্রাণ, একজাতি প্রেম-বন্ধনে |
মোদের এ দেশ নাহি রবে পিছে,ঋষি-রাজকুল জন্মেনি মিছে,
দুদিনের তরে হীনতা সহিছে, জাগিবে আবার জাগিবে |
আসিবে শিল্প-ধন-বাণিজ্য,
আসিবে বিদ্যা-বিনয়-বীর্য, আসিবে আবার আসিবে |
এস হে কৃষক কুটির-নিবাসী,
এস অনার্য গিরি-বনবাসী,
এস হে সংসারী, এস হে সন্ন্যাসী, —মিল হে মায়ের চরণে |
এস অবনত, এস হে শিক্ষিত,
পরহিত-ব্রতে হইয়া দীক্ষিত, —মিল হে মায়ের চরণে |
এস হে হিন্দু, এস মুসলমান,
এস হে পারসী, বৌদ্ধ, খৃষ্টিয়ান্, —মিল হে মায়ের চরণে |

ভারত-লক্ষ্মী

উঠ গো, ভারত লক্ষ্মী! উঠ আদি জগত-জন-পূজ্যা!
দুঃখ দৈন সব নাশি’, কর দূরিত ভারত লজ্জা |
ছাড়গো, ছাড় শোক-শয্যা, কর সজ্জা
পুনঃ কমল-কনক-ধন-ধান্যে!
জননি গো, লহ তুলে বক্ষে, সান্ত্বন-বাস দেহ তুলে চক্ষে ;
কাঁদিছে তব চরণ তলে, ত্রিংশতি কোটি নরনারী গো |
কাণ্ডারি! নাহিক কমলা, দুখ লাঞ্ছিত ভারতবর্ষে,
শঙ্কিত মোরা সব যাত্রী, কাল-সাগর-কম্পন-দর্শে,
তোমার অভয়-পদ-স্পর্শে, নব হর্ষে,
পুনঃ চলিবে তরণী শুভ লক্ষ্যে |
জননি গো, লহ তুলে বক্ষে, সান্ত্বন-বাস দেহ তুলে চক্ষে ;
কাঁদিছে তব চরণ তলে, ত্রিংশতি কোটি নরনারী গো |
ভারত-শ্মশান কর পূর্ণ পুনঃ কোকিল-কূজিত কুঞ্জে,
দ্বেষ হিংশা করি চূর্ণ, কর পূরিত প্রেম-অলি-গুঞ্জে
দূরিত করি পাপ-পুঞ্জে, তপঃ-পুঞ্জে,
পুনঃ বিমল কর ভারত-পূণ্যে |
জননি গো, লহ তুলে বক্ষে, সান্ত্বন-বাস দেহ তুলে চক্ষে ;
কাঁদিছে তব চরণ তলে, ত্রিংশতি কোটি নরনারী গো |

মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা

মোদের গরব, মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা!
কি যাদু বাংলা গানে! গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
( এমন কোথা আর আছে গো! )
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা |
ঐ ভাষাতেই নিতাই গোরা, আনল দেশে ভক্তি-ধারা,
( মরি হায়, হায়রে! )
আছে কৈ এমন ভাষা এমন দুঃখ-শ্রান্তি-নাশা |
বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন :
( আরও কত মধুপ গো! )
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা |
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনলো মালা জগৎ জিনে!
( গরব কোথায় রাখি গো! )
তোমার চরণ-তীর্থে আজি জগত্ করে যাওয়া-আসা |
ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকিনু মায়ে "মা,মা" বলে ;
ঐ ভাষাতেই বলবো হরি, সাঙ্গ হলে কাঁদা হাসা

cheap jordans|wholesale air max|wholesale jordans|wholesale jewelry|wholesale jerseys